মে দিবসকে আমি তেমন করে জানিনা, আমি জানি নেতার ডাক,যেতে হবে মিছিলে। মে দিবসের মর্মকথা জানার কিংবা শোনার সময় কোথায়? কাক ডাকা ভোরে জাগতে হয়,তারপর লাইন- একটা দুইটা নয়,বাথরুমের লাইন,স্নানের লাইন, উনুনে হাঁড়ি চড়ানো ইত্যাদী ইত্যাদী। এতো গেল ঘরের ভেতর- তার পর শুরূ হয় ঘরের বাহির, বাসে ঝুলে যাওয়ার জন্যও লাইন। ফ্যাক্টরীর কলাপসিবল গেট দিয়ে ডুকতে লাইন। এবার শুরূ পি-এম জি এম সাহেবদের বকুনি, যা মিশে গেছে জীবনের সাথে। লান্চের ঘন্টা বাঁজলো- খাবার শেষ হতে না হতেই কাজে যোগদান। বলুন সময়টা কোথায়? ৫টায় ছুটির কথা থাকলেও আরো ২ ঘন্টা কাজ করতে হবে, পি-এম সাহেব স্পষ্ট জানিয়ে গেলেন। ঘরে ফিরে প্রায়ই খাবার জোটেনা,গ্যাস নাই চুলা জ্বলেনা, গ্যাস আসবে- রাত ১২টার পর। একটি চুলায় ৫টি হাড়ির লাইন, রান্না শেষে খেতে খেতে প্রায় ভোর। বলুন এবার এতোসব অধিকারের কথা কখন শুনি? নিত্যদিনের জীবন সংগ্রাম করতে করতে, একদিন হয়তো জীবন্ত দগ্ধ অথবা ভবন ধসে, লাসের মিছিলে শরিক হবো, তার পর হবো ইতিহাস।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক
নিরেট বাস্তবতায় অপূর্ব সুন্দর উপস্থাপনা...খুব খুব ভালো হয়েছে....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।